গত ১০ বছরে দেশে অর্থনৈতিক ইউনিটের সংখ্যা বেড়েছে ৪০ লাখ ৫৮ হাজার ৭৯৯টি। ২০২৪ সালের অর্থনৈতিক শুমারি অনুযায়ী, সারা দেশে মোট অর্থনৈতিক ইউনিটের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক কোটি ১৮ লাখ ৭৭ হাজার ৩৬৪টি।
বর্তমানে স্থায়ী অর্থনৈতিক ইউনিট রয়েছে ৬২ লাখ ৮৮ হাজার ২১৪টি এবং অস্থায়ী ইউনিটের সংখ্যা ৫ লাখ ৭৬ হাজার ৬২১টি। এ ছাড়া অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত পরিবারের সংখ্যা ৫০ লাখ ১২ হাজার ৫২৯টি।
২০১৩ সালে মোট অর্থনৈতিক ইউনিট ছিল ৭৮ লাখ ১৮ হাজার ৫৬৫টি। তখন স্থায়ী ইউনিট ছিল ৪৫ লাখ ১৪ হাজার ৯১টি, অস্থায়ী ইউনিট ছিল ৪ লাখ ৮২ হাজার ৯০৩টি, আর অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত পরিবারের সংখ্যা ছিল ২৮ লাখ ২১ হাজার ৫৭১টি।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) পরিচালিত অর্থনৈতিক শুমারি ২০২৪-এর প্রাথমিক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিবিএস সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন অর্থনৈতিক সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের সভাপতি ড. কেএস মুর্শিদ। সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।
দেশের মোট অর্থনৈতিক ইউনিটের মধ্যে শহরে রয়েছে ৫৫ লাখ ৩১ হাজার ২০৩টি, যা ২০১৩ সালে ছিল ২২ লাখ ২৯ হাজার ৫৪৬টি। অর্থাৎ, ১০ বছরে শহরে ১৩ লাখ এক হাজার ৬৫৭টি নতুন অর্থনৈতিক ইউনিট যুক্ত হয়েছে।
অন্যদিকে, গ্রামে অর্থনৈতিক ইউনিটের সংখ্যা ২০২৪ সালে দাঁড়িয়েছে ৮৩ লাখ ৪৬ হাজার ১৬১টি। ২০১৩ সালে ছিল ৫৫ লাখ ৮৯ হাজার ১৯টি। অর্থাৎ, গ্রামে অর্থনৈতিক ইউনিটের সংখ্যা ২৮ লাখ ৫৭ হাজার ১৪২টি বেড়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মোট অর্থনৈতিক ইউনিটের মাত্র ৮ দশমিক ৭৭ শতাংশ শিল্প খাতের। বাকি ৯১ শতাংশ ইউনিট সেবা খাতে সক্রিয়।
দেশের মোট অর্থনৈতিক ইউনিটের ৯৩ দশমিক ৫৩ শতাংশ (এক কোটি ১১ লাখ ৯ হাজার ২টি) পরিচালিত হয় পুরুষদের দ্বারা।
নারীরা পরিচালনা করছেন ৭ লাখ ৬৮ হাজার ৪২টি ইউনিট।
হিজড়া সম্প্রদায়ের ৩২০টি অর্থনৈতিক ইউনিট পরিচালনা করার তথ্যও উঠে এসেছে।
দেশের অর্থনৈতিক ইউনিটগুলোতে কাজ করছে ৩ কোটি ৭ লাখ ৬১ হাজার ৩৪ জন কর্মী। এর মধ্যে ৫৬ দশমিক ৮২ শতাংশ গ্রামীণ অঞ্চলে নিয়োজিত।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, উৎপাদনশীল খাতে প্রবৃদ্ধি কম থাকলেও সেবা খাতে ব্যাপক উন্নতি হয়েছে।
২০২৪ সালের অর্থনৈতিক শুমারিতে দেখা গেছে, শহরে অর্থনৈতিক ইউনিটের সংখ্যা ২৯ দশমিক ৭৩ শতাংশ এবং গ্রামে ৭০ দশমিক ২৭ শতাংশ।
মোট অর্থনৈতিক ইউনিটের হিসাবে গ্রামীণ অর্থনীতি শহরের তুলনায় বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে।